প্রকাশিত: Wed, Feb 15, 2023 3:58 PM
আপডেট: Fri, Jun 27, 2025 2:06 AM

শহীদ বুদ্ধিজীবী শহিদুল্লা কায়সারের জন্মদিন

আশিক নূরী : [১] শহীদুল্লা কায়সার ছিলেন সাংবাদিক, লেখক ও বুদ্ধিজীবী। তাঁর প্রকৃত নাম ছিলো আবু নঈম মোহাম্মদ শহীদুল্লা। তিনি ১৯৬৯ সালে উপন্যাসে অবদানের জন্য বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার লাভ করেন। [২] শহীদুল্লা কায়সার ১৯২৭ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি ফেনী জেলার সোনাগাজি উপজেলার নবাবপুর ইউনিয়নের মাজুপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতার নাম মাওলানা মোহাম্মদ হাবিবুল্লাহ্ এবং মাতার নাম সৈয়দা সুফিয়া খাতুন। 

[৩] শিক্ষাজীবনের শুরুতে সরকারি মডেল স্কুলে এবং পরে মাদরাসা-ই-আলিয়া’র অ্যাংলো পার্সিয়ান বিভাগে ভর্তি হন। ১৯৪২ সালে কৃতিত্বের সঙ্গে প্রবেশিকা পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। পরবর্তী সময়ে তিনি প্রেসিডেন্সি কলেজ থেকে ১৯৪৬ সালে অর্থনীতিতে অনার্সসহ বিএ পাস করেন এবং অর্থনীতিতে স্নাতকোত্তর পড়ার জন্য কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন কিন্তু শেষ করেননি। একই সঙ্গে তিনি ‘রিপন কলেজে’ আইন বিষয়ে পড়াশোনা শুরু করেছিলেন। 

[৪] শহীদুল্লা কায়সার সমসাময়িক রাজনৈতিক আন্দোলনে সক্রিয় ভূমিকা রাখেন। ১৯৪৭ সালে তিনি পূর্ব পাকিস্তান কমিউনিস্ট পার্টিতে যোগদানের মাধ্যমে রাজনীতিতে প্রবেশ করেন ও ১৯৫১ সালে পার্টির সদস্য হন। পরবর্তী সময়ে তিনি পূর্ব পাকিস্তান কমিউনিস্ট পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ছিলেন। [৫] সাংবাদিকতার মাধ্যমে কর্মজীবন শুরু করেন। তিনি ১৯৪৯ সালে মাওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী পরিচালিত সাপ্তাহিক ইত্তেফাক পত্রিকায় যোগদান করেন। পরবর্তী সময়ে তিনি ১৯৫৮ সালে দৈনিক সংবাদ এর সম্পাদকীয় বিভাগে সহকারী সম্পাদক হিসেবে যোগ দেন। 

[৬] শহীদুল্লা কায়সারের উল্লেখযোগ্য সাহিত্যকর্মের মধ্যে রয়েছে ‘সংশপ্তক (১৯৬৫)’, ‘কৃষ্ণচূড়া মেঘ’, ‘তিমির বলয়’, ‘দিগন্তে ফুলের আগুন’, ‘সমুদ্র ও তৃষ্ণা’, ‘চন্দ্রভানের কন্যা’ ও ‘কবে পোহাবে বিভাবরী (অসমাপ্ত)’। [৭] তিনি ১৯৮৩ সালে একুশে পদক অর্জন করেন। এছাড়াও ‘আদমজী সাহিত্য পুরস্কার (১৯৬২)’, ‘বাংলা একাডেমী পুরস্কার (১৯৬৯)’ ও ‘স্বাধীনতা পুরস্কার (১৯৯৮)’ লাভ করেন। তিনি ১৯৭১ সালের ১৪ ডিসেম্বর আলবদর বাহিনীর কজন সদস্য তাকে ধরে নিয়ে যায়। ধারণা করা হয় যে, অপহরণকারীদের হাতে তিনি মারা যান।